আর এম পি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সহযোাগীতায় পল্লী গ্রামের সাধারণ মানুষের সু-চিকিৎসা নিশ্চিতকরন সহ বেকার যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে (গ্রাম ডাক্তার) হিসেবে স্বনির্ভর করে, গড়ে তোলার লক্ষ্যে “প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশিক্ষণ”

নোটিশ বোর্ড

নোটিশ ৩১-১২-২০২৩

আমাদের কোর্স সমূহ

আর.টি.সি (রিফ্রেসার্স ট্রেনিং কোর্স)

আর.টি.সি (রিফ্রেসার্স ট্রেনিং কোর্স)

কোর্সের বিস্তারিত ...
৩ মাস ফার্মেসী বা ফার্মাসিস্ট টেকনিশিয়ান কোর্স

৩ মাস ফার্মেসী বা ফার্মাসিস্ট টেকনিশিয়ান কোর্স

কোর্সের বিস্তারিত ...
১ বছর (এস.ডি.এম.টিসি)

১ বছর (এস.ডি.এম.টিসি)

কোর্সের বিস্তারিত ...
৬ মাস আর.এম.পি কোর্স

৬ মাস আর.এম.পি কোর্স

কোর্সের বিস্তারিত ...

আর.এম.পি ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে স্বাগতম

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত আর.এম. পি বা রোড়াল মেডিকেল প্রাকটিশনার রেজিষ্ট্রেশন নং এস-৯৬৩০, সংস্থাটি ২০০৯ সালে আত্নপ্রকাশ ঘটে।গ্রাম-ডাক্তার বা পল্লী চিকিৎসকদের পেশাগত মান উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধি,সংক্রামক এবং অসংক্রামক রোগ সম্পর্কে সচেতনতা, মা ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা, অপচিকিৎসা দূরীকরন,এন্টিবায়োটিক এর অপব্যবহার এবং সীমাবদ্ধতা,বাংলাদেশ সরকারের রেফারেন্স সিস্টেমে অবদান ( গ্রাম-ডাক্তার থেকে এববিবিএস থেকে বিশেষজ্ঞ), প্রাথমিক সাস্থ্যসেবায় সচেতনতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি, বিভিন্ন ঔষধের সম্ভাব্য পার্শ-প্রতিক্রিয়া,ক্ষতিকর ডোজ সম্পর্কে সচেতনতা এবং গ্রামের পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের সঠিক প্রাথমিক চিকিৎসা আমাদের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য।এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরনে গ্রাম-ডাক্তারদের সঠিকভাবে ব্লাড পেসার নির্নয়,ডায়াবেটিস নির্নয়,নেবুলাইজারের ব্যবহার, ফাস্ট এইড বক্স এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।আর.এম.পি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মেম্বারশিপ সার্টিফিকেটটি বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে কপিরাইট রেজিষ্ট্রেশন সনদ প্রাপ্ত, যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং -সিআরএ-১৭৩২৬।আর.এম.পি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি গ্রাম-বাংলার পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে অঙ্গিকারবদ্ধ।

Md. Amirul Bashar

Md. Amirul Bashar

President

সেই ২০০৯ সাল থেকে অজপাড়া গাঁয় এবং মহল্লার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আর.এম.পি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে । একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত গ্রাম-ডাক্তারগণ পারবে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে কাজ করতে,রোগে এবং সকল মহামারী বিপদের আমরা সর্বদা পাশে আছি এবং থাকব ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাই সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

Alhaz Md. Aminul Islam

Alhaz Md. Aminul Islam

Founding General Secretary

প্রত্যন্ত গ্রামে যখন রাতের আধারে কোন এক মানুষ পেট ব্যথায় কাতরাতে থাকে, বা অন্য কোন রোগে ভোগে তখন কনকনে শীত বা ঝড় বৃষ্টির রাতে এই গ্রাম ডাক্তারগণ সাধারণ এবং দুঃখী মানুষের পাশে থাকে, আমাদের আরএমপি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সর্বদা এই সকল সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সঠিক ও সুন্দরভাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসবা দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর এবং সেই লক্ষ্যে আমরা সারাদেশে কয়েক লক্ষ্য গ্রাম-ডাক্তার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

Village Doctor

 বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম গঞ্জে প্রতিটি ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পোঁছে দেওয়া আমাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু জনসংখ্যা আধিক্যের কারণে এবং বেশির ভাগ শিক্ষিত ডাক্তার শহরমুখী হওয়ায় পল্লী গ্রামের সাধারণ মানুষ এই সেবা সু-চিকিৎসা হতে বঞ্ছিত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে বাংলাদেশ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ” সবার জন্য স্বাস্থ্য” সু-নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল পর্যায় হতে সকলের আন্তরিক সহযোগী মনোভাব সৃষ্টি না হলে এই উদ্যোগ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত আর এম পি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সহযোাগীতায় পল্লী গ্রামের সাধারণ মানুষের সু-চিকিৎসা নিশ্চিতকরন সহ বেকার যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে “স্বাস্থ্য কর্মী” (গ্রাম ডাক্তার) হিসেবে স্বনির্ভর করে, গড়ে তোলার লক্ষ্যে “প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশিক্ষণ”

 যে সককল গ্রাম ডাক্তার এখনো আর টি সি প্রশিক্ষণ কোর্স। করেন নাই তারা অনতি বিলম্বে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য নিজ উপজেলাতে ভর্তির জন্য যোগাযোগ করুন।

কার্যক্রম আওতাভুক্ত এলাকাঃ সমগ্র বাংলাদেশ।

 আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

 

  • গ্রাম পর্যায় সকল নগরিকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা ও সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • বেকার যুবক/ যুবতীদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মী হিসেবে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য স্বনির্ভর রূপে গড়ে তোলা।
  • ই,পি, আই কর্মসূচি ও উহার কার্যকারিতা সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করা।
  • সরকারের পাশাপাশি গ্রাম পর্যায়ে দুস্থ্য, গরিব মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা।
  • পরিবার পরিকল্পনা সেবা দানের পাশাপাশি গ্রাম ডাক্তারগণ স্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করা ও জনসাধারণকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়াই সংস্থার মূল লক্ষ্য।
  • হেপাটাইটিস -বি ভাইরাস, এইডস, ক্যান্সার, ডাইরিয়া ইত্যাদি রোগের ভয়াবহতা থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা গড়ে তোলা।
  • বাংলাদেশে রোড়াল মেডিকেল প্রাকটিশনার, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, লোক্যাল মেডিকেল এন্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং ইত্যাদি বিভিন্ন মারাত্মক রোগ সম্পর্কে গণসচেতণতা গড়ে তোলা।
  • আর টি সি ও আর এম পি সেমিনার/ ট্রেনিং এর মাধ্যমে মেম্বারশীপ গ্রহণে উদ্বোধ্ব করা।

 মেম্বারশীপ/সদস্য হওয়ার শর্তাবলীঃ

 

  •  গ্রাম ডাক্তার ওয়েব সাইডে নিবন্ধন করতে সকল ডকুমেন্ট এর কালার কপি জমা দিতে হবে।
  •  গ্রাম ডাক্তার ফরম সংগ্রহ করে সঠিক ভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে।
  • আবেদন ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে ৩ কপি পার্সপোট সাইজের ছবি, জন্ম নিবন্ধন/ এন আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং পূর্বের প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট এর ফটোকপি (সকল কপি কালার প্রিন্ট হতে হবে)।
  •  আবেদন ফরম বাবত ২০০টাকা এবং প্রতিমাসে উন্নয়ন ফি......... টাকা হারে দিতে হবে।
  •  পরপর ৬ মাস উন্নয়ন ফি না দিলে সদস্য পদ বাতিল বলে গন্য হবে।
  • পূর্বের যেকোন মেডিকেল ট্রেনিং নেওয়া হতে হবে।
  •  উন্নয়নের ফি থেকে বেতন ও অফিস ভাড়া, বিবিধ খরচ বাদ দিয়ে বাকী টাকা উন্নয়নের খাতে রাখা হবে।

 আই ডি কার্ড ব্যবহার বিধিঃ

 যারা গ্রাম ডাক্তার আর টি সি ও আর এম পি কোর্স করেছেন তাদেরকে আইডি কার্ড দেওয়া হবে। যে সকল গ্রাম ডাক্তার আমাদের ওয়েব সাইডে নিবন্ধন করেছেন এবং উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন শুধুমাত্র তারাই আইডি কার্ড পাবেন। সদস্যগণ ছাড়া অন্য কোন গ্রাম ডাক্তারগণ এ এই আইডি কার্ড ব্যবহার করিতে পারিবেনা। করিলে দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সচেতনতা

 বাংলাদেশে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা খাত সাধারণত দুটি উপশাখায় বিভক্ত জনস্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা শিক্ষা। সুস্বাস্থ্য মানুষের অন্যতম প্রধান চাহিদা এবং স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ লাভ সবার মৌলিক অধিকার। সাম্প্রতিককালে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা খাতে বাংলাদেশ উলে­খযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এ লক্ষ্যে এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয় নি। তবে মানুষের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসচেতনার কারণে স্বাস্থ্যসংশি­ষ্ট শাখাগুলিতে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আর এম পি গ্রাম ডাক্তার কতৃক পরিচালিত হচ্ছে কিছু অফলাইন ও অনলাইন ভিত্তিক কোর্স। যা একজন ব্যাক্তিকে আরও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করে গড়ে তুলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। স্বাস্থ্যখাতে উন্নতি করতে হলে অবশ্যই তৃনমূলের মানুষ কে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

 যুব উন্নয়ন প্রয়োজন

 বাংলাদেশের লাখ লাখ যুবক এখন বেকার, এই বেকার যুবকদের বড় একটা অংশ শিক্ষিত ও উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু তাদেরকে দক্ষ লোকবলে রুপান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না আমাদের মানুষিক অবস্থা এমন যেন কোন উপায়ে চাকরি পেতেই হবে। অযথা চাকুরীর পিচনে না ছুটে গ্রাম ডাক্তার প্রশিক্ষণ নিয়ে পক্ষ থেকে যুবকদের নিয়ে কর্মশালা পরিচালনা করা হবে এবং কর্মশালা শেষে ১০০% কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

 যুবসমাজ যে কোন দেশের মূল্যবান সম্পদ জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহনের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে একটি জাতির অর্থনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশও যুব সমাজ জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার, নীতি নির্ধারক ও সিদ্বান্ত গ্রহনকারী। জনসংখ্যার সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল ও উৎপাদনমূখী অংশ হচ্ছে যুবগোষ্ঠি। দেশের অসংগঠিত, কর্মপ্রত্যাশী এই যুবগোষ্ঠিকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমূখী শক্তিতে রুপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

 জাতীয যুবনীতি অনুসারে বাংলাদেশের ১৮-৩৫ বছর বয়সী জনগোষ্ঠিকে যুব হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ বয়সসীমার জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ, যা প্রায় ৫ কোটি ৩০ লক্ষ। শ্রমশক্তির যোগান ও সংখ্যার বিবেচনায়ও আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য যুবসমাজের সম্পৃক্ততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং দেশের জনসংখ্যার সম্ভাবনাময়, আত্ম-প্রত্যয়ী, সৃজনশীল ও উৎপাদনক্ষম এ অংশকে জাতীয় উন্নয়নের মূল ধারায় অবদান রাখার জন্য তাদের মাঝে গঠনমূলক মানসিকতা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে সুসংগঠিত করার বিকল্প আর কিছুতেই নেই। কারন সংগঠিত হলেই উন্নতি ও অগ্রগতি সম্ভব।

 অর্গানিক পন্য প্রয়োজন

 বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিষ মুক্ত খাদ্য শুধুমাত্র ধনীদের ক্রয় ক্ষমতার আওতাধীন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষের কাছে বিষ মুক্ত অর্গানিক পণ্য যেন বিলাসিতা। আমরা গ্রাম পর্যায় থেকে আমাদের তত্বাবধানে চাষ করা অর্গানিক বিভিন্ন পণ্য সরাসরি কৃষক থেকে ক্রয় করে, তা পৌঁছে দেবো স্বল্প আয়ের মানুষ গুলোর কাছে। যেন তারা স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। আমাদের এই পণ্য গুলোর শুভেচ্ছা মূল্য বাজারের বিদ্যমান একই ধরনের পণ্যের মূল্য থেকে, পণ্য ভেদে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম হবে। যা নিঃসন্দেহে অল্প আয়ের মানুষের দুঃখ কষ্ট কে কিছুটা হলেও লাঘব করবে।

 জৈব খাদ্য বা অর্গানিক ফুড হল সেই সব খাবার যা উৎপাদনে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার, এন্টিবায়োটিক, হরমোন বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। জৈব সার ব্যবহার করে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত খাদ্য হল জৈব খাদ্য। আর যেসব পণ্য উৎপাদনে সহনীয় মাত্রায় নির্দিষ্ট সময়ে রাসায়নিক সার বা কীটনাশক বা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়, সেসব পণ্যকে নিরাপদ খাদ্য বা সেইফ ফুড বলা হয়।

 জৈব খাদ্য, সবজি চাষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হয়। এছাড়া হাইব্রিড ও জিএমও জাত উৎপাদন করে জমি ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। কৃষিজমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার আমাদের খাবারের ভেতরে ঢুকে যায়। গবাদি পশু-পাখির উৎপাদন বাড়াতে হরমোন দেয়া হয়। শুধু সবজি নয়, ফল, ডিম, মাছ, মাংস—সবকিছুতেই এগুলোর জীবনকাল বাড়াবার জন্য ফরমালিন কিংবা কীটনাশক মেশানো হয় যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

 এছাড়া ফলমূল পাকাতে বা পচে যাওয়া ঠেকাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। এই কৃত্রিম পদার্থগুলো খাবার ধোয়ার পর, এমনকি রান্না করার পরও সম্পূর্ণ দূর হয় না। যা আমাদের দেহের নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই রাসায়নিক জিনিসগুলো আমাদের শরীরে ধীরগতিতে বিষের মতো কাজ করে।

 কৃত্রিম সার, রাসায়নিক দ্রব্য, ফরমালিন ইত্যাদির যথেচ্ছ ব্যবহারে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, লিভারের সমস্যা ইত্যাদির প্রকোপ মারাত্মক হারে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে শিশু এবং গর্ভবতী মায়েদের ওপর এর প্রভাব আরও মারাত্মক। এই ক্ষতিকর দিক থেকে থেকে মুক্ত থাকার অন্যতম সমাধান হতে পারে অর্গানিক সবজি। অর্গানিক শাকসবজি বা শস্য উৎপাদনে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এছাড়া জমিতে বীজ বপনের আগে কয়েক বছর জমি ফেলে রেখে মাটি পরিশুদ্ধ করে নিতে হয়। তাই এটি আমাদের শরীরের জন্য নিরাপদ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ফলে সাধারণ মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা প্রদান করবো স্বল্পমূল্যের নিরাপদ খাদ্য।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও স্বল্প মূল্যে ওষুধের ব্যবস্থা করে দেওয়া

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র, অবহেলিত মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রদান ও নিরাপদ এবং সঠিক কার্যকারিত সম্পূর্ণ উন্নত মানের ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করনই আমাদের এই প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের ছোট ছোট মেডিকেল ক্যাম্পি গুলো থেকে ঐ অঞ্চলের মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন এবং জরুরি ও প্রাথমিক প্রায় সকল চিকিৎসা সেবাই পাবেন।

মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম একটি হলো স্বাস্থ্যসেবা। আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার বড় অংশই গ্রামে বসবাস করে। গ্রামের কৃষক ও হতদরিদ্র মানুষ তাদের চিকিৎসার জন্য নির্ভর করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর ওপর। কিন্তু এগুলো চিকিৎসক সংকটসহ নানা রকম সংকট ও অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায় আক্রান্ত। তাই গ্রামীণ দরিদ্র মানুষগুলো প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছেন কাঙ্খিত চিকিৎসাসেবা থেকে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বড় সংকট হলো লোকবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদির। আবার যে সরঞ্জামাদি আছে তারও সদ্ব্যবহার হয় না, যে লোকবল নিয়েজিত আছে তাদেরও কর্মস্থলে যথাযথ দায়িত্ব পালন নিশ্চিত হচ্ছে না।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষার মতো সরকারি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ততা রয়েছে। কোথাও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায় না। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিকে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ চাহিদার কারণে পরের চালান আসার আগেই শেষ হয়ে যায়। সামগ্রিকভাবে চাহিদার তুলনায় ওষুধের সরবরাহ অপ্রতুল। যৌন, প্রজনন ও সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মানসম্মত, দক্ষ ও পর্যাপ্ত জনবলের অভাব রয়েছে।

এই সংকট মোকাবেলা করতে আর এম পি গ্রাম ডাক্তারগন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং মানুষ ও মানবতার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাবে।